ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধী প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় অনেকে। জাতীয় সড়ক অবরোধ, পুলিশের গাড়িতে আগুন, পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটায় 'প্রতিবাদীরা'। এই আবহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জে। আর সেই ঘটনায় মমতার প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বাম জমানার কথা টেনে এনে সিদ্দিকুল্লা বললেন, 'সিপিএম-এর পুলিশ কিন্তু আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেনি।' এরই সঙঅগে তাঁর প্রশ্ন, 'কী এমন হয়েছিল যে পুলিশ লাঠিচার্জ করল?' (আরও পড়ুন: ইউনুসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা ডোভালের, বৈঠক নিয়ে রহস্য বাড়ালেন বাংলাদেশের খলিলুর)
আরও পড়ুন: 'কা কা ছি ছি গাওয়া মানুষটা…', ওয়াকফ নিয়ে তপ্ত জঙ্গিপুর, তোপ মমতার বিরদ্ধে
জঙ্গিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লা টিভি৯ বাংলাকে বলেন, 'আমরা হিংসা চাই না। হিংসা হলে আটকে যাব। আন্দোলন মাঝ-পথে থেমে যাবে। আর যদি হিংসা না হয়, তাহলে আন্দোলন বিভিন্ন রূপরেখা নেবে।' এদিকে মমতার পুলিশের সঙ্গে বাম জমানার পুলিশের তুলনা টেনে সিদ্দিকুল্লা বলেন, 'কী এমন হয়েছিল যে পুলিশ লাঠিচার্জ করল? আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি যে কলকাতায় প্রায় ৪৫ বছর আমরা ওঠাবসা করছি। নন্দীগ্রাম তো সেদিন… সিপিএম-এর পুলিশ কিন্তু আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেনি। এটা সত্যি কথা। আমরা সেই সুযোগই দিইনি। বহু সভা করেছি।'
উল্লেখ্য, সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশের প্রতিবাদে ৮ এপ্রিল উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ সেই অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে অবরোধকারীরা। পালটা টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের অন্তত ২টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এর আগের দু'দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছিল পুলিশ। আর ৮ এপ্রিল ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকশো মানুষ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপর উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। জনতা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রায় দুঘন্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।