দিন কয়েক আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এসে নানা আশ্বাস দিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের। তবে সেই অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগেই তমলুকের এক বাসিন্দা, চাকরিহারা শিক্ষক কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবার আর আন্দোলন নয়, এবার হবে শিক্ষক বিদ্রোহ। যেমন করে কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল ঠিক তেমনই হবে শিক্ষক বিদ্রোহ।
আর সেই শিক্ষক বিদ্রোহের আঁচ এবার কলকাতার কসবার পাশাপাশি জেলায় জেলায় ছড়াতে শুরু করেছে। কোথাও ডিআই অফিসে তালা, কোথাও আবার ডিআই অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ। কসবায় চাকরিহারাদের উপর লাঠিচার্জ, পুলিশের লাথি বাদ থাকল না কিছুই। এবার কোচবিহারে ডিআই অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ। কোচবহারে ডিআই অফিসের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান শিক্ষকরা। কোচবিহার শহরে ডিআই অফিসের সামনে আগে থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। আর সেই ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে একেবারে ডিআই অফিসের সামনে চলে আসেন শিক্ষকরা।
পুরুলিয়ায় ডিআই অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন চাকরিহারারা। কৃষ্ণনগরে ডিআইর সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারা শিক্ষকরা। বালুরঘাটেও তুমুল বিক্ষোভ দেখান চাকরিহারা শিক্ষকরা। কসবায় চাকরি হারা শিক্ষকদের উপর পুলিশ লাঠিপেটা করে বলে অভিযোগ।
সূত্রের খবর, কোচবিহারে ডিআই আফিস থেকে কিছুটা দূরে জড়ো হয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। এরপর তাঁরা ক্রমশ ডিআই অফিসের দিকে এগোতে থাকেন ক্রমশ। এদিকে তার আগে ডিআই অফিসের সামনের রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। এরপরই একাধিক শিক্ষিকা এসে সেই ব্যারিকেড সরিয়ে দেন। তাদের দাবি, আমাদের চাকরি গিয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর আশ্বাসে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।