অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আর পাঁচটা দিনের মতো মেমারি থানার বিরে পলতা গ্রামে বাড়ির সামনেই ফুল তুলতে গিয়েছিল এক কিশোরী। বয়স মাত্র ১৩ বছর। নাম রিঙ্কু ক্ষেত্রপাল। আচমকাই একটি সাপ কামড়ে দেয় তাকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিৎকার করে ওঠে ওই কিশোরী।তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকার লোকজন। তার পায়ে শক্ত করে দুটি বাঁধন দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে সেই সাপটিকে ধরে ফেলেন রিঙ্কুর বাবা। এরপর সাপটিকেও মেয়ের সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তিনি মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেই সঙ্গেই তিনি সাপটিকেও নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। মেয়ের চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে যাতে সুবিধা হয় সেকারণে তিনি সাপটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি মেয়েটিকে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তিনি মেয়েকে নিয়ে যান। মেয়েকে বাঁচানোর জন্য তিনি কাতর আবেদন করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা রিঙ্কুকে বাঁচাতে পারেননি। চিকিৎসকের কাছে কন্য়ার প্রাণ ভিক্ষা করেন তার বাবা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি কিশোরীকে।
সূত্রের খবর, সকাল ৬টা নাগাদ সাপে কামড়েছিল। সকাল ৭টা নাগাদ মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসা পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই মারা যায় মেয়েটি।
এক প্রতিবেশী বাসব ক্ষেত্রপাল বলেন, মেয়েটা ফুল তুলতে গিয়েছিল। ডান পায়ে ছোবল দিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম মেয়েটিকে। সাপটাকেও নিয়ে এসেছিলাম। ডাক্তারকে প্রমাণ দেখানোর জন্য নিয়ে এলাম সাপটিকে। যাতে চিকিৎসা ভালো করে হয় সেকারণে। আমরা আর কোথাও যাইনি। মেয়েটাকে বাঁচানো যায়নি।