আসানসোলের বেসরকারি বাসের চালককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ করলেন বাস–কর্মীরা। এই ঘটনায় আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে বাস এবং মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রবল দুর্ভোগ পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। আবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অনড় বেসরকারি রুটের বাস–কর্মীরা। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। বাস চালককে মারধর করার অভিযোগ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জানানো হয়েছে পুলিশকে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখল বাস–কর্মীরা। আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে এই বেসরকারি রুটের বাসগুলি রোজই চলে। সারা বছর যাত্রী পরিষেবা দিয়ে থাকে। সেখানে বাস কর্মীদের অভিযোগ, সোমবার ভোরবেলা যখন আসানসোল থেকে ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একটি গাড়ি তখন বরাকর বাস স্ট্যান্ডে এক বাসচালককে তুমুল গালিগালাজ করে কয়েকজন বলে অভিযোগ। এরপর ওই বাস চালককে মেরে নাক ফাটিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। একটি চারচাকার ছোট গাড়িতে থাকা কয়েকজন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: একশো সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের, দিঘায় জগন্নাথধাম ঘিরে কর্মসংস্থান
অন্যদিকে বরাকর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল আসালসোল–বরাকর রুটের একটি বাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, রাস্তার মাঝখানে বাস দাঁড়িয়ে ছিল। আর তাই পিছনে থাকা ছোট গাড়ি পাস করতে পারছিল না। বাসের চালককে ওই গাড়ির আরোহীরা জায়গা দিতে বললে বাসের চালক ওই গাড়িকে জায়গাও দেন। তখনই বাসের চালকের উদ্দেশে গাড়ির আরোহীরা গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। এই গালিগালাজের জেরে চালক এবং ওই আরোহীদের মধ্যে বচসা চরমে পৌঁছয়। তখনই বাস চালককে এবদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরও করা হয় ওই বাসে। দুই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও প্রতিবাদে বাস ও মিনি বাস কর্মীরা ওই রুটে গাড়ি চালাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এছাড়া এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে বাস কর্মীরা জানান, দুই অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাস, মিনিবাস, অটো পরিষেবা বন্ধ রাখী হয়েছে। তাঁদের দাবি এই ঘটনায় অবিলম্বে সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। আহত বাস চালক এম ডি সঈদ আলি এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘আমি সকালবেলা বাস নিয়ে বেরিয়ে ছিলাম। যাত্রী তোলার জন্য বরাকর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়াই। তখন হঠাৎ একটি গাড়ির আরোহীরা আমাকে তুমুল গালিগালাজ করতে শুরু করেন। প্রতিবাদ করতেই আমাকে মারধর করা হয়। ওই গাড়িতে ৬জন ছিল। তার মধ্যে দু’জনকে ধরে আমরা পুলিশের হাতে দিয়েছে। গাড়িতে সবাই নেশাগ্রস্ত ছিল।’