শীতলষষ্ঠী ২০২৫র তারিখ ঘিরে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে, সরস্বতী পুজোর তিথি ঘিরেও রয়েছে কৌতূহল। আর সরস্বতী পুজো পার করলেই পালিত হয় শীতল ষষ্ঠী। এই শীতলষষ্ঠী পুজোর বেশ কিছু রীতি রয়েছে। সঠিকভাবে সাজিয়ে বাড়িতে শীতলষষ্ঠীর পিঁড়ে পেতে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে। কেমন সেই রীতি? তার আগে দেখে নেওয়া যাক শীতলষষ্ঠীর তিথি।
শীতল ষষ্ঠী ২০২৫:-
২০২৫ সালের শীতলষষ্ঠী পড়ছে ৩ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ সোমবার। একটি মত বলছে, সেদিন সকাল ৬ টা ৫৪ মিনিটে তিথি পড়ছে। আর তা শেষ হবে ৩ ফেব্রুয়ারি, ভোররাত ৪ টে ৩৮ মিনিটে। আরেকটি মত বলছে, ৩ ফেব্রুয়ারি ,২০২৫ সকাল ১০ টা ৫৬ মিনিট থেকে তিথি শুরু হবে। তিথি শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১২ টা ৩৬ মিনিটে।
শীতল ষষ্ঠী , গোটা সেদ্ধ ও শীল সাজানো:-
শীতলষষ্ঠীর দিনে বাড়ির শীলনোড়াকে সুন্দর করে সাজানোর রীতি রয়েছে। এদিন নতুন গামছা দিয়ে শীলকে সাজানো হয়। সঙ্গে সিঁদুর, হলুদের ফোঁটা দেওয়া হয়ে থাকে কোনও কোনও বাড়ির শীলকে। এছাড়াও তাকে বাঁশপাতা দিয়ে সাজানোরও রীতি দেখা যায় বাংলার বহু ঘরে। এছাড়াও শীল সাজানো হয় জোড়া কলা ও সজনে ফুল দিয়ে। এই শীতলষষ্ঠীর পুজোর দিনকে ষষ্ঠীদেবীর পুজোর দিন বলে মনে করা হয়। এদিন কনিষ্ঠ সন্তানকে কোলে নিয়ে শীতলষষ্ঠীপ ব্রত পাঠের নিয়ম রয়েছে। বাড়ির শীল নোড়া যেহেতু পুজো করা হয়, তাই এই দিনে বাড়িতে রান্নার রীতি নেই। এর আগের দিন, গোটা সেদ্ধ খাবার রীতি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি না ভেঙে গোটা দিয়ে, তার সঙ্গে সবুজ মুগের ডাল সেদ্ধ করে এই পদ তৈরি হয়। আগের দিন রান্না করা গোটা সেদ্ধ শীতলষষ্ঠীর দিনে খাওয়ার রীতি প্রচলিত।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য মান্যতা নির্ভর। এর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।)